অফিসে সামাজিকতার সাত সতের

অফিসে সামাজিকতার সাত সতের

হার্ভার্ড বিজনেজ রিভিউয়ের মতে, পরিবার আর বন্ধুবান্ধবের পরে অফিসের সহকর্মীরা হচ্ছে তৃতীয় পরিবার। যেহেতু সহকর্মী নিয়েই আমাদের আরেকটি বলয়-পরিবার তৈরি হয়, সেখানে আমাদের কিছু সামাজিকতা করতে হয়। অন্য সহকর্মীর বিপদে-আপদে এগিয়ে যাওয়া, সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁকে সহযোগিতা করা, উৎসব-আনন্দে সময় দেওয়ার মতো বিভিন্ন সামাজিকতা আমাদের পালন করতে হয়।

হার্ভার্ড বিজনেজ রিভিউয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব কর্মী অফিসে সামাজিকতা সম্পর্কে ধারণা রাখেন তাঁরা অন্যসব কর্মীর চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান ও কর্মঠ।অফিসে সামাজিকতা সম্পর্কে সচেতনভাবে বেশি জ্ঞান না রাখলেও আমরা দৈনন্দিন অনেক কাজেই তা প্রকাশ করি। সহকর্মীর জন্মদিনে কেক কাটা, সন্তানের পরীক্ষার ভালো ফলাফলে মিষ্টি বিলি, ফাল্গুনের প্রথম দিনে সবাই মিলে হলুদ পাঞ্জাবি-শাড়ি পরে আমরা সহকর্মীদের সঙ্গে সামাজিকতা রক্ষা করি।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েকআপ বাংলাদেশের উপদেষ্টা রুবিনা খান বলেন, ‘সহকর্মীদের সঙ্গে সামাজিকতা আসলে আমাদের ব্যক্তিত্ব আর রুচির চিত্র প্রকাশ করে। সারা দিন অফিসের হাজারও কাজের ভিড়ে আমরা সহকর্মীরা পরস্পরের প্রতি যে সামাজিক আচরণ করি তা আমাদের কর্মে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।’ কাজের পরিবেশকে দারুণ আর আকর্ষণীয় করে তুলতে অফিসের বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান আর রীতি বেশ কার্যকর। সফল পেশাজীবী হতে চাইলে এ ধরনের সামাজিকতা মেনে চলা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

অফিসে সামাজিকতা মেনে চলতে যা করবেন
* বিভিন্ন জাতীয় দিবস আর উৎসব-পার্বণে অফিসের নিয়ম মেনেই শাড়ি-পাঞ্জাবি পরে অফিস করতে পারেন।
* বিশেষ দিবসগুলোতে সহকর্মীদের কার্ডের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। মুঠোফোনের খুদে বার্তাও শুভেচ্ছা জানাতে দারুণ কার্যকর।
* মাঝেমধ্যে সহকর্মীদের সঙ্গে দুপুরের লাঞ্চ করতে পারেন।
* জন্মদিন বা সহকর্মীর বিবাহবার্ষিকীতে অফিসে কেক কেটে তাঁকে উৎসাহ দিতে পারেন।
* কারও জন্মদিনের জন্য ব্যক্তিগত উপহারের বদলে কয়েকজন সহকর্মী মিলে উপহার কেনার চেষ্টা করবেন।
* অফিসের অন্য বিভাগের সহকর্মীদের বিশেষ দিনে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলবেন না।

Related posts

Leave a Comment